ঢাকা১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩৬টি চাকরি পরীক্ষায় ফেল করা পিংকি বিসিএস ক্যাডারে

জনবার্তা প্রতিবেদন
আগস্ট ২১, ২০২৩ ১:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিভিন্ন চাকরির প্রিলি পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছিলেন কিন্তু কোনো প্রিলিই পাস করতে পারছিলেন না। একটি নয় দুইটিও নয় একের পর এক ৩৬টি বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রিলি পাস করতে পারেননি। কিন্তু হার মেনে নেননি, দমেও যাননি। তার কাছে NO মানে Next Opportunity. তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে অবশ্যই পারবেন, অবশ্যই সফল হবেন।

অবশেষে ৩৭ নম্বর চাকরির পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রিলি পাস করেন। এরপর থেকে মোটামুটি সকল প্রিলি পরীক্ষায় পাস করতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পাস করেন। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। ৩৮তম বিসিএস এ নন-ক্যাডার তালিকায় জায়গা পান। কিন্তু দুঃখ তখনো রয়ে গিয়েছিল কারণ ক্যাডার হতে পারেননি।

চেষ্টা অব্যহত থাকে, ৪১তম বিসিএস শেষ বিসিএস। অবশেষে ৪১তম বিসিএস বন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। হ্যাঁ, ৪১তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত পিংকি রানী মজুমদারের গল্প এটি।

পিংকি রানী মজুমদার, ৪১তম বিসিএসে (বন) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার বাবা দুলাল চন্দ্র মজুমদার, যিনি দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিলেন। মা মমতা রানী মজুমদার একজন গৃহিণী। পিংকি রানী মজুমদার কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের জাগুরিয়া (ধলিরপাড়) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা বরুড়া পৌরসভার অফিসপাড়ায়। স্নাতক ও স্নাতোকত্তর পাস করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে।

পিংকি রানী মজুমদার বলেন, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমি ৪১তম বিসিএস বন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবে আমার এই সাফল্যে আমার বাবা-মা অনেক খুশি। বাবা-মার সুখই আমার সুখ। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারাই আমার সফলতা।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে বলতে চাই বিসিএস একটি ধৈর্য্যের পরীক্ষা। প্রতি বিসিএসে ক্যাডার হয় প্রায় দুই হাজারের মতো বাকিরা ক্যাডার হয় না। তাই শুধু বিসিএসকে লক্ষ্য করে এগিয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বিকল্প পথ রাখতে হবে। যেমন- আমি চাকরির প্রস্তুতির পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে কুমিল্লা ল কলেজ থেকে এল এল বি সম্পন্ন করি। যাতে করে চাকরি না হলেও আমি এডভোকেটশিপ নিতে পারি। সেই সাথে সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। দুই দিন পড়ে দুই দিন পড়বে না এমনটা করা যাবে না। পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমি মনে করি দিন শেষে বিসিএস একটি চাকরি মাত্র, জীবনের ছোট্ট একটি অংশ, এটা সম্পূ্র্ণ জীবন না। তাই যতটা বিনয়ী, কৃতজ্ঞতাবোধ এবং Down to Earth থাকব ততই শান্তি পাব বলে বিশ্বাস করি।

সমাজমাধ্যমকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেন তিনি। তার বিসিএস জার্নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল সমাজমাধ্যম। অনলাইনে লাইভ ক্লাস, বিসিএস ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন থাকা, পত্রিকার বিভিন্ন কলাম পড়া, অনলাইনে এক্সাম দেওয়া, নোটপত্র শেয়ার করা ইত্যাদি কাজে একমাত্র ভরসা ছিল সমাজমাধ্যম।

তিনি বলেন, সমাজমাধ্যম নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করতাম, তাই এটা আমার জন্য আশীর্বাদ ছিল।

যেহেতু বন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাই দেশের বনজ সম্পদ রক্ষা, উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে অবদান রাখতে চান পিংকি রানী মজুমদার।