১৯৮৭ সালে স্থানীয় একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে হামলার ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ। নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি করে ৩৬ বছর পর রায়ের রিভিশন (আপিল) নিষ্পত্তি করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০২৩ সালের ৯ মার্চ এ বিষয়ে রায় দেন।
সম্প্রতি এ রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে নিম্ন আদালতে দণ্ডিত ফয়েজ আহমেদকে ছয় (৬) মাসের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ২২ নভেম্বর মিরসরাইয়ে পুকুরের মালিকানা নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকে দা-বটি ও ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সেই ঘটনায় করা মামলায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর মামলার বিচার শেষে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৯ সালের ৪ এপ্রিল ফয়েজ আহমেদকে ছয় মাসের ও অপর আসামি নিজাম উদ্দিন ওরফে জসিম উদ্দিনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ফয়েজ ২০০৫ সালে আপিল করলে চট্টগ্রামের বিশেষ দায়রা জজ আদালত ২০০৬ সালের ১ মার্চ আপিল নাকচ করে দেন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করেন। এরপর শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে রিভিশন হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করেন। সেই সঙ্গে আসামি ফয়েজ আহমেদকে দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে খালাস দেন।
রায়ে আদালত বলেন, এ ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছে আপিলকারী ফয়েজ আহমেদ। অপরটি তার বিরুদ্ধে। ফয়েজ আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ‘শুনা সাক্ষী’। দুই ও তিন নম্বর সাক্ষীর বিরুদ্ধে ফয়েজ আহমেদ মামলা করেছে। পাশাপাশি চার নম্বর সাক্ষী ডাক্তার। আর ৫ নম্বর সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষী নেই। ফলে প্রসিকিউশন পক্ষ কোনোপ্রকার সন্দেহের অবকাশ ব্যতীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।