রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের কর্ম-অধিবেশনগুলোর আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পিপি, জিপি ও তাঁদের সহকারীদের বেতন ছিল দুই থেকে তিন হাজার টাকা। সেটাকে বাড়িয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘৬৪টি জেলাকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। বড় শ্রেণির জেলার পিপিদের বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি শ্রেণির জেলার পিপিদের বেতন হবে ৪৫ হাজার টাকা। ছোট শ্রেণির জেলার পিপিদের বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা। আদালতের ওপর নির্ভর করে পিপি, জিপি ও তাঁদের সহকারীদের নির্ণয় করা হবে। এই কাজে ২৬৭ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হলে তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই সরকারে আসবে, তারা বিষয়টি বিবেচনা করবে। পিপি-জিপিদের সম্মানজনক অবস্থানে নেওয়ার জন্য তাদের বেতন কাঠামো বদলানো প্রয়োজন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘পিপি-জিপিদের বেতন বাড়ানোর আরেকটি কারণ হলো, একটি স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থায় ৩০ শতাংশ নিয়োগ হবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা স্থায়ী হবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের মনোনীত করা হবে। যেমন— দুর্নীতি দমন কমিশনবিষয়ক। বাকি ৭০ শতাংশ নিয়োগ হবে এখনকার মতো, মানে রাজনৈতিক বিবেচনায়।’