ঢাকা১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুরার ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে নামাজ মাকরুহ হবে কি?

জনবার্তা প্রতিবেদন
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফরজ নামাজে সুরার তারতিব বা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা মোস্তাহাব। রক্ষা করতে না পারলে বা না জানলে সমস্যা নেই। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজে সুরার তারতিব ভঙ্গ করা অনুত্তম।

নামাজে সুরা মেলানোর ক্ষেত্রে মৌলিক কয়েকটি কথা স্মরণ রাখলে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
১. যেন কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা হয়। তিন আয়াতের সীমা হলো- কমপক্ষে ৩০ হরফ।

২. এক সুরা পড়ার পর মাঝখানে এক সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়া মাকরুহ। তবে দুই সুরা বাদ দিয়ে পড়লে কোনো সমস্যা নেই। ৩. প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বে, পরের রাকাতে পরের কোনো সুরা পড়বে, আগের কোনো সুরা পড়া মাকরুহ। এতে কোরআনের তারতিব পাল্টে যায়। তবে ভুলে এমনটি করলে সমস্যা নেই।

৪. বড় সুরা মাঝখান থেকে কিছু অংশ পড়া, আর পরের রাকাতে আরেক সুরার মাঝখান থেকে পড়াও অনুত্তম। ৫. প্রথম রাকাআতে বড় সুরা পড়লে তার পরের রাকাআতে তুলনামূলক ছোট সুরা পড়া উত্তম।

তবে এসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেও সালাত শুদ্ধ হবে। কেননা, কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ‘তোমার কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয় পড়।’ (সুরা মুজাম্মিল: ২০)

মূলকথা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ভুলগুলো করা মাকরুহ। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে সমস্যা নেই। আর এমন ভুলের কারণে সাহু সেজদাও ওয়াজিব হবে না।

(আল মুহিতুল বুরহানি: ২/৩১০; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/৯৭; আলবাহরুর রায়েক: ২/৯৪; ইলাউস সুনান: ৪/১৪৫)