আমি অপেক্ষায় ছিলাম,
আকাশ ছোঁয়া বাতিঘরটার মতো পথ চেয়ে,
দূরের ঐ একলা দ্বীপটির মতো সবুজ মেলে,
আমার বুকের গহীন অরণ্য পাথরঘেরা পথে-
চঞ্চল হরিণী, তুমি আসবে একদিন!
এই স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি, এই শুভ্রকেশর মেঘমালা,
এই পানকৌড়ির ডানায়,
আমার অপেক্ষারা ভেসে বেড়িয়েছে অনন্তকাল!
বাতিঘরের চুল্লির মতো জ্বলেছে, ভস্মীভূত ছাইয়ের মতো মিলিয়ে শূন্যে,
টইটুম্বুর মেঘপুঞ্জি, বর্ষণ আশে টনটনে আবেগ ভেসেছে স্বপ্নে!
সুদূরের মরীচিকা কাঁপিয়ে, নীলজল দিগন্ত ডিঙিয়ে,
তারপর এলে তুমি মায়াহরিণী!
এই প্রান্তরের ধূসর ধূলি উড়িয়ে, তুমি এলে,
নীল জলে আজ তুমি প্রতিবিম্ব,
আমি নির্মল জলরাশি!
[কবি উৎকলিত রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী; বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ’এর সঙ্গে কাজ করছেন।]