ডাকিনীর সঙ্গে
আমারে আমি বেচে দিতে চেয়েছি বিবিধ পন্থায়;
তবু, কেমন করে যেন অবিক্রিত রয়ে গেলাম।
মূল্যহীন যেনবা, পঁচা সবজিটি বাজারের।
একটা সংসার আমারও হবে কোনোদিন এমন দুঃসাহসও তো দেখালাম কুমিরভরা গাঙে,
এখন আমার স্বপ্ন কাচের মতো ভেঙে চৌচির।
আর, নত হয়ে গেছে ‘চির উন্নত মম শির।’
প্রায়শ্চিত্ত করি, এক রক্ত পিপাসু
ডাকিনীর
পাশে
শুয়ে থাকি এখন—
ঘুমের ভেতর যে আমাকে ঠেলতে-ঠেলতে পাহাড়ের নিচে গিরিখাতে ফেলে মারতে চায়।
নির্ভার
যেমন নির্ভার হতে চাই, গাছালিতে বয়ে যাওয়া সকালের নির্মল হাওয়ার মতো
আমি তো হতে পারি না হায়;
নির্ভার; আমি তো শুধুই অসহায়;
মৃত্যু ছাড়া আর কে দিতে পারে এমন নির্ভরতা আমায়?
খোদা আমাকে সান্ত্বনা দেন; তিনি বলেন—
‘আমি জানি তারা যা বলে, তাতে তোমার অন্তরটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়!’
কান্নার চিহ্ন
আমি যেসব কবিতা লিখি, কাঁদতে-কাঁদতে;
সেখানে বিরহ থাকে, অনেক-অনেক পেইন
রৌদ্রের কিরণ থাকে; কখনো প্রচুর রেইন
আর সব তাচ্ছিল্য
অপমান
অবহেলা
নতমুখ
এসব অলংকার তো থাকেই
শুধু আমার চোখের পানি ..
কর্পূরের মতো কোথাও তার চিহ্ন থাকে না।